সুন্দর দেশ বিনির্মাণে গ্রীন বিল্ডিং টেকনোলজির ৯ দাবি

আগামীর সুন্দর ও নিরাপদ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য পরিবেশ বান্ধব সমাজ রাষ্ট্র গঠনে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তাই বাংলাদেশে গ্রীন বিল্ডিং টেকনোলজি বিজনেস ওনার্স এসোসিয়েশনের ৯ দফা দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গতকাল রবিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশে গ্রীন বিল্ডিং টেকনোলজি বিজনেস ওনার্স এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক এইচএম বদরুদ্দোজা। 

সংগঠনটি মনে করে,  উন্নত বাংলাদেশ গঠনে এবং টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে পরিবেশবান্ধব নির্মাণ প্রযুক্তি ও উপকরণের বিকল্প নেই। দিন দিন পরিবেশের বিপর্যয়ের কারণে ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে এ অবস্থায় “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ” গঠনের লক্ষ্যে নির্মাণকাজে পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার সময়ের দাবি।  
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ইট নির্মাণ হয় জমির উপরিভাগের মাটি দিয়ে, যেই মাটি ফসলের জন্য উর্বর। এছাড়া ইট নির্মাণে পোড়ানো হয় কাঠ। ফলে একদিকে অক্সিজেন উৎপাদক গাছ কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে ইটের ভাটা থেকে বিষাক্ত কার্বন গ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। তাই পরিবেশ ও জলবায়ুর কথা বিবেচনা করে পরিবেশ বন্ধব ভবন নির্মাণ সময়ের দাবি। বক্তারা ইটের বিকল্প কনক্রিটের ব্লকের ব্যবহার করার পরামর্শও দিয়েছেন। তারা বলেন, এই ব্লক নির্মাণ করা হয় সিমেন্ট ও নুড়ি পাথর দিয়ে। ইটের মতো পোড়াতে হয় না। পরিবেশ ও জলবায়ুর ও কোনো ক্ষতি হয়না।

সংগঠনটির দাবি সমূহ
১.গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় হাউসিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট নির্মাণ কাজের পরিবেশ বান্ধব পণ্য পরিহারের জন্য প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 
২. নির্মাণ কাজের জন্য যেন কৃষিজমি নষ্ট না হয় এবং পরিবেশের ক্ষতি সাধন না হয় তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে।
৩. নির্মাণকাজে পরিবেশবান্ধব পণ্য পরিহারের জন্য আইন প্রয়োগ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কঠোর হওয়া। 
৪. ভবন নির্মাণের ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিতে পরিবেশবান্ধব নির্মাণ নিশ্চিত করার জন্য সঠিক নীতিমালার ব্যবস্থা করে দেওয়া। 
৫. নির্মাণকাজে পরিবেশের অবক্ষয় রোধে আইন প্রয়োগ বাস্তবায়ন করা। 
৬. পরিবেশবান্ধব ভবন তৈরিতে সরকারের পক্ষ থেকে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা। 
৭. পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের সরকার পক্ষ থেকে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা। 
৮. পরিবেশবান্ধব পণ্য প্রস্তুতকারীদের মানসম্মত পণ্য উৎপাদন এবং পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশেষ নীতিমালা তৈরি করা। 
৯. রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিকভাবে সর্বস্তরের জনগণকে পরিবেশ বান্ধব পণ্য পরিহারে পণ্য ব্যবহারে উত্সাহিত করা। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর প্রধান গবেষক কর্মকর্তা মো. আকতার হোসাইন সরকার। আরও উপস্থিত ছিলেন, লেখক ও গবেষক ড. জাফর সিদ্দিকী, বাংলাদেশ অনলাইন এক্টিভিটিস ফোরামের সভাপতি মো. কবীর চৌধুরীর তন্ময় এবং তাওফিকুন নেসা লাকী, প্রতিষ্ঠাতা, শিল্প 

পাঠকের মন্তব্য