এবার লকডাউনেও শুটিং নিষিদ্ধ করেনি নাটকের সংগঠনগুলো

করোনা সংক্রমণ রোধে আজ ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার৷ তাই বেশ কয়েকদিন ধরেই নাটকপাড়ায় আলোচিত ছিলো শুটিং চলবে কী চলবে না৷ অবশেষে জানা গেল, শুটিং নিষিদ্ধ করেনি নাটক সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।

সামনে ঈদ৷ তাই শিল্পী ও কলাকুশলীরা এখন ব্যস্ত থাকবেন অন্য সময়ের তুলনায় বেশি৷ এই বিষয়টি মাথায় রেখেই শুটিং বন্ধ ঘোষণা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা৷

তবে তারা বেশ কিছু নিয়ম নীতি বেঁধে দিয়েছেন৷ যেখানে শুটিং না করতে অনেকটা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে৷

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম গণমাধ্যমে বলেন, 'সরকারি প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানা, ব্যাংক, বিমা ও জরুরি কিছু সেবা চালু থাকবে। তাই শুটিংও চলতে পারে৷ আমরা কাউকে শুটিং করতে উৎসাহিত করছি না। জীবনের প্রয়োজনে আমাদের ঘরে থাকা উচিত। তবে কেউ চাইলে শুটিং চালিয়ে যেতে পারেন।’

তবে আগের মতো ১২ ঘণ্টা শুটিং করা যাবে না। দেশের এ পরিস্থিতিতে ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে শুটিং। সেই সঙ্গে ছোট পর্দার চারটি সংগঠনের বেঁধে দেওয়া কঠোর নীতিমালা অবশ্যই মানতে হবে।

তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় শিগগিরই শুটিং বন্ধের ঘোষণাও আসতে পারে বলে জানান অভিনেতাদের নেতা সেলিম।

ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাউদ্দীন লাভলু গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন, সরকার ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও অফিস সীমিত আকারে চালু রাখার কথা বলা হয়েছে। জরুরি কাজ ছাড়া বের হওয়া যাবে না। এসব বিষয় তারা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না। তিনি মনে করেন, আর সবাই যেখানে কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন সেখানে শুটিং চালু থাকতেই পারে৷ কারণ শুটিং করেই এখানকার মানুষেরা তাদের রুটি–রুজির ব্যবস্থা করে থাকেন। তবে শুটিংয়ে আসা সবাইকে সতর্কতা মেনে চলতে অনুরোধ জানান তিনি।

‘সরাসরি শুটিং বন্ধ আমরা বলতে পারব না। বন্ধ বললে সহকর্মীদের দায়দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। এটা আমাদের দ্বারা সম্ভব নয়। আবার 'শুটিং করো'- এটাও বলতে পারছি না। তখন সরকার আমাদের ধরবে। আমরা শুটিংয়ের পক্ষেও নই, বিপক্ষেও নই'- দোটানায় থাকার কথা এভাবেই জানালেন পরিচালকদের সভাপতি লাভলু।

তবে বেশ ক'জন সম্প্রতি শুটিং করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া শুটিং মানেই অনেক মানুষের কর্মযজ্ঞ৷ চাইলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায় না। এসব বিষয় বিবেচনা করে জীবনের নিরাপত্তার দিকটি গুরুত্ব দিয়ে আজই শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবিও করছেন অনেকে।

পাঠকের মন্তব্য