ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নাজুক ফুটবলকে নতুন জীবন দেবে 

ইংল্যান্ডের শীর্ষ ছয়, স্পেনের তিন ও ইতালির তিন ক্লাবকে নিয়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ (ইএসএল) আয়োজনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত। যেকোনোদিন প্রকাশ করা হবে বিদ্রোহী এই লিগের সূচি ও অন্যান্য বিস্তারিত। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের সিংহভাগের দাবি, এই টুর্নামেন্টের ফলে দুর্দশা নেমে আসবে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে।

তবে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের চেয়ারম্যান ফ্লোরেন্টিনো পেরেজের মতে, ফুটবলকে বাঁচানোর জন্যই তারা এই নতুন টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। শুধু তাই নয়, ইএসএলের বিরুদ্ধে উয়েফা ও ফিফার অবস্থানও নমনীয় হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের ছয়বারের প্রেসিডেন্টের।

স্পেনের সংবাদমাধ্যম এল চিরিংগুইতোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পেরেজ জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ১৫টি ক্লাবের নাম তারা ঠিক করে ফেলেছেন। যার মধ্যে ১২টি ক্লাবের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকি তিনটি ক্লাব শিগগিরই যোগ দেবে এ আয়োজনে। এর বাইরে আরও ৫টি ক্লাব নিয়ে মোট ২০ দলের টুর্নামেন্ট হবে ইএসএল।

এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের উদ্দেশ্য যে মহৎ, তা জানিয়ে পেরেজ বলেছেন, ‘আমরা মর্যাদাপূর্ণ ক্লাবগুলোকে বাঁচানোর জন্য এটি করছি। তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার সব সুযোগ শেষ হওয়ার আগেই এটি করতে চাচ্ছি। আমরা ফুটবলের ভবিষ্যতের জন্য লড়ছি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই টুর্নামেন্ট সবাইকে বাঁচিয়ে রাখবে। ফুটবল এখন নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। আগামী ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অবস্থার মধ্যে পড়বে। ফুটবল হয়তো হারিয়ে যাবে না, তবে অনেক নিচে নেমে যাবে। যদি খেলার প্রতি তরুণদের আগ্রহ না বাড়ে।’

ফুটবলের ভবিষ্যতের জন্য ইএসএলের এ লড়াই- এমনটাই জানালেন পেরেজ। তার ভাষ্য, ‘এখন অনেক মানুষ আছে যারা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে না। আমরা প্রতিটি পর্যায়ে ফুটবলকে সাহায্য করব যাতে এটি একটি যথাযথ অবস্থানে থাকতে পারে। ফুটবল একটি বৈশ্বিক খেলা। বিশ্বে প্রায় ৪০০ কোটি ফুটবল দর্শক আছে। তাদের ইচ্ছা পূরণ করা বড় ক্লাবগুলোর দায়িত্ব।’

এদিকে রোববার উয়েফা ও ফিফাসহ ছয়টি ফেডারেশন মিলে যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে যে, ইউরোপিয়ান সুপার লিগে অংশ নেয়া খেলোয়াড়রা নিজ নিজ জাতীয় দলের হয়েও খেলতে পারবে না। এই কথাও উড়িয়ে দিয়েছেন পেরেজ। তার মতে, জাতীয় দলের হয়ে খেলতে কোনো অসুবিধা হবে না ফুটবলারদের।

উল্লেখ্য, ইউরোপিয়ান সুপার লিগের প্রকল্পে থাকা ক্লাবগুলো হলো এসি মিলান, আর্সেনাল, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, চেলসি, বার্সেলোনা, ইন্টার, জুভেন্টাস, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও টটেনহ্যাম।

পাঠকের মন্তব্য