তামিম ইকবালের ফিফটির পর ফের বিপদে বাংলাদেশ

এক ওভারে জোড়া উইকেট, হঠাৎ বিপদে বাংলাদেশ। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা টানা দুই বলে টাইগার দলের দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে হাসি ফুটিয়েছেন লঙ্কানদের মুখে। অথচ তামিম ইকবালের ফিফটির পর কিছুটা ব্যাকফুটেই চলে গিয়েছিল সফরকারিরা।

ওপেনিংয়ে তরুণ সঙ্গীরা যখন একের পর এক ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন, তামিম ইকবাল তখন ভরসা দিচ্ছেন দলকে। অভিজ্ঞতা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না, সেটাই যেন বারবার বোঝাচ্ছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

দারুণ খেলে ক্যারিয়ারের ৫১তম ফিফটি তুলে নেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি এরপর। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার এক ইয়র্কার ডেলিভারি বুটের কানায় লেগে যায় তামিমের।

তামিম তাতে রিভিউও নিয়েছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। রিপ্লেতে দেখা যায় উইকেট হিট করেছে বল। এর পরের ডেলিভারিতে আরও এক এলবিডব্লিউ। এবার প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে হাস্যকরভাবে আউট মোহাম্মদ মিঠুন (০)। তিনিও রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু কাজ হয়নি। ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৩ রান। মুশফিকুর রহীম ২৯ আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে আছেন।

মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা। দুশমন্ত চামিরার দ্রুতগতির এক ডেলিভারিতে (১৪৬.৫ কিলোমিটার/ঘন্টা) ড্রাইভ করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ হন লিটন।


এ নিয়ে সর্বশেষ পাঁচ ইনিংসে তৃতীয়বারের মতো শূন্যতে আউট হলেন ডানহাতি এই ওপেনার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত বছরের মার্চে ১৭৬ রানের ইনিংসের পর সাত ইনিংসে পঁচিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি একবার।

দলীয় ৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর সাকিব আর তামিম দেখেশুনে এগোচ্ছিলেন। দুজনই অবশ্য একটু ধীরগতিতে ব্যাট করতে থাকেন, তবু জুটিটা মোটামুটি জমে উঠেছিল। কিন্তু ৩৮ রানের এই জুটিটি ভেঙে যায় ইনিংসের ১৩তম ওভারে।

দানুশকা গুনালিকার স্লোয়ার ঘূর্ণি ডেলিভারি ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে তুলে মারতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু বলের গতি বুঝতে না পেরে ব্যাট চালিয়ে লংঅনে সহজ ক্যাচ হন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তারপর তামিম আর মুশফিকের ৫৬ রানের জুটি। তামিম দারুণ খেলে ফিফটি তুলে নেন। সর্বশেষ নয় ইনিংসে যেটি তার ষষ্ঠ পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে টানা দুই সেঞ্চুরির (১৫৮ আর ১২৮*) পর মাত্র একবারই দশের নিচে আউট হয়েছেন এই ওপেনার।

পাঠকের মন্তব্য