এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১ শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল

প্রকাশ করা হয়েছে ২০২১ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষার ফল। আজ রোববার দুপুরে এই ফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরীক্ষায় ১১ শিক্ষাবোর্ডের গড় পাসের হার ৯৫.২৬ ভাগ। অপরদিকে সারাদেশে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী।

১১ শিক্ষাবোর্ডের প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় ৯৫.৫২ ভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। অপরদিকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ৫৯ হাজার দুই শ’ ৩৩ জন।

বরিশাল বোর্ডে পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫.৭৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন নয় হাজার নয় শ’ ৭১ জন।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৪.৮০ ভাগ। মোট চার হাজার সাত শ’ ৩১ জন এই বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৭.৪৯ ভাগ। এই বোর্ড থেকে মোট ১৪ হাজার এক শ’ ৫৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

দিনাজপুর বোর্ডে ৯২.৪৩ ভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। মোট ১৫ হাজার তিন শ’ ৪৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন এই বোর্ড থেকে।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯৭.২৯ ভাগ শিক্ষার্থী। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩২ হাজার আট শ’ জন।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ৮৯.৩৯ ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৩ হাজার সাত শ’ ২০ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পান এই বোর্ড থেকে।

৯৮.১১ ভাগ শিক্ষার্থী এইসচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন যশোর বোর্ড থেকে। মোট ২০ হাজার আট শ’ ৭৮ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন এই বোর্ড থেকে।

ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে ৯৫.৭১ ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। অপরদিকে এই বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন সাত হাজার ছয় শ’ ৮৭ জন।

মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯৫.৪৫ ভাগ শিক্ষার্থী। মোট চার হাজার আট শ’ ৭২ জন পরীক্ষার্থী এই বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯২.৮৫ ভাগ শিক্ষার্থী। মোট পাঁচ হাজার সাত শ’ ৭৫ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

করোনার কারণে ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গত ডিসেম্বরে নেয়া হয়। এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গতবারের চেয়ে এবার ৩৩ হাজার ৯০১ পরীক্ষার্থী বেশি ছিল।

গ্রুপভিত্তিক তিনটি বিষয়ে নম্বর ও সময় কমিয়ে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও দেশের বাইরে থাকা বিভিন্ন কেন্দ্রের খাতা মূল্যায়নে দেরি হয়।

পাঠকের মন্তব্য