ত্রিপুরায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা সরকার ও ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়।

দিবসের প্রথম প্রহরে সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন সহকারী হাইকমিশনার কিরাটী চাকমা। পরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লিখিত বাণী পাঠ করা হয়।

এসময় কুনঞ্জবনের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে ভাষা শহীদ স্মরণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

মিশনের প্রথম সচিব (ফার্স্ট সেক্রেটারি) মো. জাকির হোসেন ভূইয়া, দ্বিতীয় সচিব (সেকেন্ড সেক্রেটারি) মো. ইকবাল হোসেনসহ সহকারী হাইকমিশনের অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ আগরতলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রিপুরা রাজ্যেবাসী স্বত:স্ফুর্তভাবে শহীদের স্মরণে সকালে প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করেন। আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে ভাষা শহীদ স্মরণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষা সচিব এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান, আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন মিশু শহীদ স্মরণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

পরে আগরতলার কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান কাশেম এবং অরুণ চন্দ্র আচার্য্য নিজ নিজ ধর্মীয় রীতিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  এসময় রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ রাজ্যের সাধারণ মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেন।

দ্বিতীয় পর্বে আগরতলার রবীন্দ্র ভবনের সামনে আম্রকুঞ্জে ত্রিপুরা সরকারের শিক্ষা দফতর এবং আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে র‌্যালি বের হয়ে আগরতলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে র‌্যালিটি আম্রকুঞ্জে এক আলোচনা সভায় গিয়ে মিলিত হয়। আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠসহ একুশের সেই কালজয়ী গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি এ গানটি ছাড়াও মর্মস্পর্শী দেশাত্ববোধক গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের শিল্পীরা।

এশিয়ামেইল২৪/এসইউ

পাঠকের মন্তব্য